পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ সুবহানাহুয়া তা'আলা যে ফলগুলির নামে কসম করেছেন তার মধ্যে জয়তুন তেল একটি। স্বাভাবিক ভাবেই যখন আমরা গুরুত্বপূর্ন কিছু বুঝাতে চাই তখন কসম করি। ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ তা'আলাও সূরা ত্বিন এ জয়তুনের কসম করে এর অপরিসীম গুরুত্বের কথাই বলতে চেয়েছেন।
এছাড়াও প্রিয় রাসূল (সঃ) জয়তুন তেলের কথা বলতে গিয়ে বলেছেনঃ তোমরা এটা খাও ও শরীরে ব্যবহার কর (ইবনে মাযাহঃ ৩৩২০)। এছাড়াও ইবনে তাইমিয়াহ (রঃ) তার "The Medicine of the Prophet (sm.)" বইয়ে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেনঃ জয়তুন তেল যে কোষ্ঠ কাঠিন্য কমে।
গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে জয়তুনের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় । জয়তুনের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমায়, যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়।
কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জয়তুন তেল অনেক অনেক উপকারী।সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জয়তুন তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না। এটা একটা পরীক্ষিত ব্যাপার। জয়তুন তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সাথে ত্বক কুঁচকানো প্রতিরোধ হয় ।
গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ক্লোন ক্যান্সার (Colon cancer ) প্রতিরোধ হয়। আরও কিছু গবেষক দেখিয়েছ, এটা ব্যাথা নাশক (Pain Killer) হিসাবে কাজ করে। গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ ব্যবহার করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা পাওয়া যায়। মেয়েদের রূপ বর্ধনের জন্য এটা অনেকটা কার্যকর।
আলহামদুলিল্লাহ Halal Ghor এ যুক্ত হয়েছে এক্ট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল (imported from spain)। এটি খাওয়া ও শরীরে মাখা দুইই করতে পারবেন।