মেসওয়াকের নিয়ম ও ফজিলতঃ
এক. মিসওয়াকের ফজিলত ও পদ্ধতির ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোনো ব্যবধান নেই। উভয়ের জন্যই মিসওয়াকের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি হাদিস পেশ করা হল–
১. আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
السِّواكُ مَطهَرةٌ للفمِ مَرضاةٌ للرَّبِّ
মিসওয়াকের মাধ্যমে মুখের পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। (নাসায়ী ৫)
২. আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوءٍ
যদি আমি আমার উম্মতের উপর কঠিন মনে না করতাম তাহ’লে প্রত্যেক ওযূর সাথে তাদেরকে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী ২/৩০৮)
৩. আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ما جاءَني جبريلُ قطُّ إلَّا أمرَني بالسِّواكِ حتَّى لقد خَشيتُ أن أُحْفيَ مُقدَّمَ فَمي
এমনটি কখনো হয়নি যে, জিবরাইল আ. আমার নিকট এসেছেন আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেন নি। এতে আমার আশংকা হচ্ছিল যে, মিসওয়াকের কারণে আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি। (আল মুযামুল কাবীর লিত তবারানী ৭৮৪৭, মুসনাদে আহমদ ২২২৬৯)